ঈদ আনন্দে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। এবার যানজট না থাকায় যাত্রীদের তেমন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না। সেইসাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে ঈদ ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরছে। যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আসাদুজ্জামান ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এবার ঈদ ঘরমুখো মানুষ নারির টানে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরছে। সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের কোথাও এখনও তেমন কোন যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ছে এবং রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন কর্মস্থল থেকে ঈদ ঘরমুখো নারী পুরুষের চাপ বাড়ছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে রয়েছে এবং জেলা পুলিশের প্রায় ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য ওই মহাসড়কে দিনরাত দায়িত্ব পালন করছে। তবে বৃহস্প্রতিবার সকালে যানজট চাপ কমাতে যমুনা সেতুর ঢাকাগামী লেনে সাময়িক বন্ধ রাখা হয় এবং উত্তরবঙ্গগামী লেনে টোল আদায় চালু রাখা হয়েছিল। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ে ঢাকামুখী লেনে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মহাসড়কের সায়দাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিঃ মিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ যানজটে ঢাকামুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ বিষয়ে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, উত্তরবঙ্গমুখী যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। তবে প্রায় ৪০ মিনিট পর ঢাকামুখী লেনে টোল আদায় আবার শুরু হয়েছে। তবে এখনও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি এবং মহাসড়কে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ঢাকামুখী বাস চালক ও যাত্রীরা বলেন, এ যানজটে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। টোল বন্ধ থাকার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কে ঈদ ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ একাধিক বৈঠকও করেছে। এ বৈঠকে মহাসড়কে যানজট নিরসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন রাখতে কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, মহাসড়কে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের ৫ শতাধিক সদস্য কাজ করছে এবং সেইসাথে ৩ স্তরে সেনা, র্যাব ও পুলিশের বিশেষ টহলের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।